গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, আজকে বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য নাই হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এখানে ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পাবে না।
আজ রোববার জাতীয় সংসদ সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদে স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘আজকে জিনিসের দাম বেড়েছে আমরা অস্বীকার করি না। সারা বিশ্বে মানুষ কষ্টে আছে, হিসাব করে খরচ করে। সেখানে বাংলাদেশের একজন মানুষও না খেয়ে আছে? আমরা এইটুকু কথা গর্ব করে বলতে পারি— যত কিছু হয় বাংলাদেশের মানুষ আজকে না খেয়ে নাই। পান্তা ভাত দেশের মানুষ চায় না। মানুষের বাসার দোরগোড়ায় ভিক্ষা করতে যায় না। আজকে তারা ভালো খাবার চায়, ভালো পরতে চায়। দেশ আজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানে আছেন উল্লেখ করে চুমকি বলেন, এই সংসদের জবাবদিহিতা নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তরের সম্মুখীন হয়েছেন। বিরোধী দলের প্রশ্নের উত্তর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দিচ্ছেন। সংসদীয় কমিটিকে শক্তিশালী করার জন্য মন্ত্রীর পরিবর্তে এমপিদের সভাপতি করেছেন।
মেহের আফরোজ বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ যে পর্যায়ে চলে গেছে…জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কিন্তু তারপরও কেন চাইতে হয়? চাইতে হয় সেই কারণে— বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর একটা বিরাট প্রজন্ম ভুল তথ্য নিয়ে এই বাংলাদেশে বেড়ে উঠেছিল। তারা বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জানত না, এই দেশের কোনো ইতিহাসই সঠিকভাবে জানত না। যার কারণে এ প্রজন্মটি আরও সমস্যার সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, ‘এক ধরনের বুদ্ধিজীবী শ্রেণি ভুলেই গেছেন, বিজয়ের প্রাক্কালে এই দেশ যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। অথচ কীভাবে সেই বুদ্ধিজীবীরা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়! আমাদের ভাবতে অবাক লাগে স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ একটি ছোট শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে মিথ্যা তথ্য দিতে দ্বিধা করেনি। শিশুশ্রম সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’