তাইওয়ান ঘিরে দ্বিতীয় দিনের মতো নৌ মহড়া চালাচ্ছে চীন। দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যে চীনকে সংযত থাকার আহ্বান জানাল যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সফর ও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠকের জেরে বেজায় চটেছে চীন। এরপরেই তাইওয়ান প্রণালী ঘিরে নিজের শক্তি প্রদর্শন করছে চীন
গতকাল শনিবার পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, যুদ্ধ প্রস্তুতিমূলক মহড়া আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। ‘ইউনাইটেড শার্প সোর্ড’ নামে পরিচিত এ মহড়া দ্বীপের উত্তর ও দক্ষিণে তাইওয়ান প্রণালীতে এবং এর পূর্বে সমুদ্র এবং আকাশপথে অনুশীলন চলছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট
তাইওয়ানের পক্ষে আজ রোববারও বলা হয়েছে, দ্বীপ ঘিরে চীনের কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান উড়েছে। এছাড়া আরও নয়টি যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে।
মহড়া নিয়ে পিএলএ আরও, এটি তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি এবং বহিরাগত শক্তির যোগসাজশ ও উস্কানির জন্য গুরুতর সতর্কতা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
এই নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখানোর জন্য চীনকে অনুরোধ করেছেন। দেশটি এ নিয়ে চীনকে সংযম এবং স্থিতাবস্থার কোনো পরিবর্তন না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ায় সাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। তাদের বৈঠকের আগেই কড়া বার্তায় হুমকি দেয় চীন। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং দ্বীপের নিরাপত্তা রক্ষার্থে তারা যথাযথভাবে জবাব দেবে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন সাইয়ের মার্কিন সফরকে তাদের সামরিক মহড়ার জন্য অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও চীন এখনও দ্বীপটিকে তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে।