আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে দরকার ছিল ১৩৮ রান। বাংলাদেশের জন্য সেটি মামুলিই। তবে ৪৩ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারানোয় কিছুটা চাপ এসেছিল। সেই চাপকে উড়িয়ে হেসেখেলে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে টানা ৯ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে আগ্রাসী লিটনকে বিদায় করেন মার্ক অ্যাডায়ার। যাওয়ার আগে ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান তোলেন লিটন। এরপর দলীয় ৪৩ রানে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্তও। আর দলীয় ১০৫ রানে ব্যক্তিগত ৩১ রান করে বিদায় নেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
জয়ের জন্য বাকি পথটুকু মুমিনুল হককে নিয়ে নির্বিঘ্নেই পার করে দেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ৫১ রানে ও মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৮৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলতে নামে আয়ারল্যান্ড। এদিন নিজের প্রথম ওভারে ইবাদত হোসেন পেয়েছেন সাফল্য। ৭২ রানে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে ফেরত পাঠান প্যাভিলিয়নে। ১৫৬ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে বোল্ড হন আইরিশ ব্যাটার।
অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের পর গ্রাহাম হিউমকেও আউট করেন ইবাদত হোসেন। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে আর ৬ রান যোগ করতেই অলআউট আয়ারল্যান্ড। ইবাদতের অফ স্টাম্পের বাইরের বল বেশ দূর থেকে অফ সাইডে খেলার চেষ্টা করেন হিউম। বল তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে। ৫৫ বলে ১৪ রান করেছেন হিউম। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ড অলআউট হয় ২৯২ রানে। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।
এর আগে ৯ টেস্টের মধ্যে আটটিতেই হারে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ড্র করে একটি ম্যাচে। সর্বশেষ জয়টি এসেছিল নিউজিল্যান্ডের মাঠ মাউন্ট মঙ্গানুইতে তাদের হারিয়ে।
আম্পায়ার হিসেবে এটিই ছিল এলিট প্যানেলভুক্ত পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দারের শেষ ম্যাচ। বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়রা তাকে ম্যাচশেষে গার্ড অব অনার দেয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ২১৪ (টেক্টর ৫০, টাকার ৩৭, ক্যাম্ফার ৩৪; তাইজুল ৫৮-৫, মিরাজ ৪৩-২)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৬৯ (মুশফিকুর ১২৬, সাকিব ৮৭, মিরাজ ৫৫; ম্যাকব্রাইন ১১৮-৬, অ্যাডায়ার ৬৪-২)
আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ২৯২ (টাকার ১০৮, ম্যাকব্রাইন ৭২, টেক্টর ৫৬; তাইজুল ৯০-৪, এবাদত ৩৭-৩)
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৩৮-৩ (মুশফিকুর ৫১*, তামিম ৩১, মুমিনুল ২০*; অ্যাডায়ার ৩০-১)
ফলাফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহিম