ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের কোনো প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই আইন দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। আর আমাদের এ আইন আমেরিকার আইনের চেয়ে অনেক সহজ। আমেরিকায় ডিজিটাল অপরাধ সংক্রান্ত ২০১৫ সালের আইনটি ২০২২ সালে সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এত কারাদণ্ড নাই। আমেরিকার আইনে ডিজিটাল অপরাধের প্রেক্ষিতে যদি কারও মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নও ২০২২ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তার নতুন আইন করেছে এবং প্রায় সব দেশেই এই আইন আছে। অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও আমাদের চেয়ে কঠিন। সুতরাং এই আইন বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। তবে এতে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর দেওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যেই অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আরও কি কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি আইন মন্ত্রণালয় দেখছে, আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি।’
এর আগে ক্র্যাব নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের লেখনীর ফলেই রাষ্ট্র এবং সমাজের পক্ষে অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হয়। অপরাধীরা অনেককেই হুমকি দেয়। সাংবাদিকরা সাহস নিয়ে কাজ করলে আমি মনে করি সমাজ উপকৃত হবে, রাষ্ট্র উপকৃত হবে। তবে সবসময় খেয়াল রাখাতে হবে, রিপোর্টিং করতে গিয়ে যেন কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।’
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছে এবং আপনারা যাতে কোনোভাবে অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, সেটি অবশ্যই এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি খেয়াল রাখি এবং সাধ্যমতো সহায়তা দিতে চেষ্টা করি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, সহসভাপতি মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক রুদ্র মিজান, অর্থ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার প্রমুখ।