সমর্থকদের উপস্থিতিতে আবেগঘন বক্তব্য দিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন চাইলেন নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়ে গাজীপুরের মেয়র পদ হারানো জাহাঙ্গীর আলম।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আজ সোমবার নেতাকর্মীরা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ভিড় করেন। এ সময় সমর্থকদের সামনে দলের সভাপতির কাছে মনোনয়নপ্রত্যাশা করে বক্তব্য দেন তিনি।
ইভিএম মেশিনে ভোট ও ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আয়তনে বৃহত্তম সিটি করপোরেশনের প্রথমবার প্রার্থী হয়েই আমি ভোটারদের উদ্দেশে ঘোষণা দিয়েছিলাম, নৌকায় ভোট দেন, আপনাদেরকে পরিকল্পিত এক শহর উপহার দেব। গাজীপুরের জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে আমাকে নির্বাচিত করেছিল। তাদের আস্থার প্রতিদান আমি কাজের মাধ্যমেই দিয়েছিলাম। গাজীপুরের ভোটারদের আমার ওপর আস্থা আছে, আমারও তাদের ওপর আস্থা রয়েছে, তারা আমাকে ভালোবাসে। সে হিসেবে আমি দ্বিতীয়বার মেয়র পদে দলের কাছে মনোনয়ন চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুরে আমাকে নিয়ে ব্যাপক ষড়যন্ত্র হয়েছে, দল অবশ্যই তা অবগত। সকল কিছু বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আধুনিক এক নগর গড়তে আবারও মেয়র পদে মনোনয়ন চাই।’ এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, দলের পক্ষ থেকে তাকে আবারও মনোনয়ন দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যেন পুরো সময় কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। সেই সাঙ্গে নির্বাচন সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে।’
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ২৭ এপ্রিল, যাচাই-বাছাই ৩০ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৮ মে এবং নির্বাচন ২৫ মে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মার্চ থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গাজীপুর সিটির সবশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৭ জুন। সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর।