বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি’র ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদ নিয়ে চিত্রনায়িকা নিপুণ ও জায়েদ খানের মধ্যে লড়াই শুরু হয় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। যা থেমে থেমে দমকা হাওয়ার মতোই বইছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে। এখনও পদটি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সুরাহা হয়নি।
আদালতের চূড়ান্ত রায় না এলেও, এরই মধ্যে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নিপুণ। সেই দায়িত্ব বলে, জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়ে আজ রোববার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন সমিতির এই কমিটি।
তার আগেই নিপুণ আক্তারকে লিখিত জবাব দিলেন জায়েদ খান। আজ সকালে পাঠানো সেই জবাবে নিপুণকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেছেন জায়েদ। শুধু তাই নয়, এমন নোটিশ প্রদানকে ‘সর্বোচ্চ আদালত অবমাননা’ বলেও মনে করেন তিনি।
জবাবে জায়েদ খান জানান, তিনি পেশাগত কাজে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরেছেন গত ৬ মার্চ। কিন্তু এর ফাঁকে ২২ ফেব্রুয়ারি তার ঠিকানায় ‘অবৈধ’ নোটিশটি পাঠানো হয়। যা আরও অনেক পরে, ৩১ মার্চ হাতে পান বলে দাবি এ নায়কের।
নিপুণকে সুপ্রিম কোর্ট দেখিয়ে জায়েদ খান বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনার নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে উক্ত নোটিশ ইস্যু করা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবমাননার সামিল। বিচারাধীন মামলাটি ‘ফ্রাস্ট্রেট’ করার অসৎ উদ্দেশ্যে উক্ত ২২ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছে। আমার সদস্যপদ নিয়ে যে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার সামিল। উক্ত অবৈধ নোটিশের প্রেক্ষিতে গৃহীত যে কোনও ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে এই নায়কের ভাষ্য, সংগঠনের উদ্দেশ্যাবলীর পরিপন্থী, স্বার্থের বিরুদ্ধে বা অবমাননাকর কোনও কার্যের সঙ্গে আমি কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না বিধায় তথাকথিত ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখের কারণ দর্শানোর নোটিশটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বেআইনি।
চিঠির শেষ অংশে নিপুণকে ‘বিতর্কিত, অবৈধ, মানহানিকর ও আদালত অবমাননাকর’ কোনও কার্যক্রম না করার কথা উল্লেখ করেছেন জায়েদ খান। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
এর আগে, গেল ২২ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানকে লিখিত নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, নিপুণকে নিয়ে ‘মানহানিকর’ বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। এ কারণে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারা মোতাবেক তার সদস্যপদ স্থগিতের কথা ভাবছে সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে তাদের।