ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই’ বলার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
একই মামলায় আসামি রয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। আওয়ামী লীগকে ‘কুলাঙ্গারের দল’ এবং শেখ হাসিনাকে ‘কুলাঙ্গার দলের নেত্রী’ বলে মন্তব্য করায় তাকেও আসামি করা হয়। তবে পলাতক তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে ঢাকা সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল হক মির্জা ফখরুলকে জামিন প্রদান করেন।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটিতে তারেক রহমান এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ নেতারা কুলাঙ্গার এবং শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী’, গত ২ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকারকরা তেলবাজ’ বলে বক্তব্য রেখেছেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই’ বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বক্তব্য রেখেছিলেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ওইসব বক্তব্য গত বছরের ২৬ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর ও ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়।
মামলায় বলা হয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে গার্ড অব অনারও প্রদান করেছেন জেনেও তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং মির্জা ফখরুল দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। ওই সব মিথ্যা, বানোয়াট, ইতিহাস বিকৃতিকারী ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে দেশসহ বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির মানসম্মান ক্ষুন্ন করে ৫শ’ কোটি টাকার মানহানি করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলায় তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছিল।