বর্তমান সরকার যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলছে, তাতে ভূমিসংক্রান্ত সেবা পেতে আর হয়রানি হতে হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে; কোনো হয়রানি ছাড়াই মানুষ এখন ভূমিসেবা পাচ্ছে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর হোক।’
আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।এদিন জাতীয় ভূমি সম্মেলন উদ্বোধনের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাতটি নতুন উদ্যোগও উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। ক্ষমতায় আসার পর দেশসেবায় রূপকল্প-২০২১ গ্রহণ করা হয়, যা অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
জানা যায়, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নানা সেবামূলক কার্যক্রম ও ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশনের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো খুঁজে বের করে তা মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ করতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনটি চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
জাতীয় ভূমি সম্মেলনের অন্যান্য লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে-ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে নাগরিকদের জানানো, সরকারি সংস্থা, অংশীজনদের জানানো, তাদের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ভূমি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
সাতটি উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স। বাকি ছয়টি উদ্যোগ হলো- রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ, স্মার্ট ভূমি নকশা, স্মার্ট ভূমি রেকর্ডস, স্মার্ট ভূমি পিডিয়া, স্মার্ট ভূমিসেবা কেন্দ্র ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন বিকেলে ও পরবর্তী দুদিন ‘স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনায় মাঠ প্রশাসন’, ‘সায়রাত ও খাসজমি ব্যবস্থাপনা’, ‘অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা, সরকারি মামলা ও সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ’ শীর্ষক চারটি সেমিনার বা প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে।