ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনের সময় মুখ ও নাক খোলা রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঢাবির বাংলা বিভাগের এই সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
ঢাবির বাংলা বিভাগের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে রুলের জবাব দিতে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়: ১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না, তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীদের পক্ষে রিট দায়ের করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। তিনি জানান, কান ও মুখ খোলা রাখার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী। রিটে সেটিই উল্লেখ করা হয়েছে।