‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ

Slider বাংলার মুখোমুখি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলন্ত ট্রেনে ফের পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।

পাথরের আঘাতে ট্রেনের বগির একটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। একই ট্রেনে ঘণ্টাখানেক পর টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের কাছে আবার পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে তিনটি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটল। এসব ঘটনায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। ওই গ্রুপে রুহুল আমিন সিদ্দিকী নামের পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের এক যাত্রী পোস্টটি দেন। ওই পোস্টে দুটি জানালার ভাঙা কাচের ছবিও দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে মির্জাপুর স্টেশন অতিক্রম করার সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পাথরে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকো মাস্টার) তৌহিদুজ্জামান চোখে আঘাত পান। এ ছাড়া চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের পাঁচজন যাত্রী আহত হন। ওই চালকের চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

শুক্রবার পাথর নিক্ষেপে আহত চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ইলিয়াস সরকার বলেন, ‘নিরাপদ ট্রেন যাত্রা ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ট্রেন যাত্রার ঝুঁকি বাড়বে এবং ট্রেনে যাত্রী কমে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেবে।’

ট্রেনের কয়েকজন নিয়মিত যাত্রী জানান, তারা এখন আতঙ্কে রয়েছেন। ট্রেনে ভ্রমণের সময় কখন কী ঘটে, সেই চিন্তা এখন তাদের। আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণ ব্যাহত করতে একটি চক্র এমন কাজ করছে। ওই চক্রকে প্রতিহত করতে না পারলে ট্রেনে যাত্রী কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে এবং তাতে ক্ষতির মুখে পড়বে রেলওয়ে।

স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান বলেন, ‘শনিবার মির্জাপুর পৌরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে রেলওয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ না করার বিষয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সচেতন করা হবে।’

কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, বিষয়টি তাকে অবগত করা হয়নি। রেলের যাত্রীসহ এ সেবায় নিয়োজিত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে পুলিশ পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *