রমজানে জুমার নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব

Slider লাইফস্টাইল


শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। বাংলাদেশে এবার প্রথম রমজান শুরু হয়েছে শুক্রবার, অর্থাৎ জুমার দিনে। রমজানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবি, তাহাজ্জুদ, সুন্নত ও নফল নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। আর জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যও অনেক বেশি।

মহান আল্লাহ তাআলা জুমার দিনকে অন্যান্য দিনের থেকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। জুমার দিনে মুসলমানদের ইবাদতের জন্য বলা হয়। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে দিনটির অনেক ফজিলত বর্ণনা করা আছে।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, পাঁচ বেলা সালাত আদায়, এক জুমা থেক পরবর্তী জুমা, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে হওয়া সব (সগিরা) গুনাহের কাফফারা স্বরূপ, এই শর্তে যে বান্দা কবিরা গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে। (মুসলিম – ২৩৩)

অন্য এক হাদিসে নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোয় সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হযরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। তাকে ওই দিন জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই জান্নাত থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪)।

মহান আল্লাহ তাআলা জুমার দিনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন—

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

‘হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত বেরিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ (সূরা জুমুআ : ০৯)

এছাড়াও হাদিসে রয়েছে, হযরত সালমান ফার্সী (রা.) বলেন, বিশ্বনবী (সা.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে ভালোরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, নিজের ঘরের তেল, সুগন্ধি ব্যবহার করে বের হয় এবং দু’জন লোকের মাঝে ফাঁকা জায়গা না রেখে তার নির্ধারিত নামাজ আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেয়ার সময় ছুপ থাকে তাহলে তার জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত সময়ের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারী ২য় খণ্ড ৮৩৯)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *