দেশে গরু ও মুরগির দাম না কমলে আমদানি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, দুবাইয়ে আমদানি করা মাংস বিক্রি হয় ৫০০ টাকা কেজি দরে। আর দেশে গরুর মাংস কিনতে হয় ৭৫০ টাকায়। তাই দাম না কমলে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংস আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ, বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এম এ মোমেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও নিত্যপণ্যের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতাসহ বাজার কমিটির সভাপতিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমরা আইন মেনে ব্যবসা করব। সরকার আইন তৈরি করলে তার প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিৎ। ভোজ্যতেল, খেজুর, তেল, চিনিসহ ৬ ধরণের পণ্য সর্বোচ্চ মজুদ রয়েছে। চিনিও ব্যাপক মজুদ রয়েছে। এ সব পণ্যে রমজানে কোনো সমস্যা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সিরিয়াস মনিটরিংয়ের মধ্যে আছে। কোনো বাজারে বেশি মূল্য রাখা হলেই সরকার বাজার কমিটি বাতিল করবে। একই সঙ্গে দাম বেশি নেওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করবে সরকার। আমরা চাই না রোজায় দাম বেশি নেওয়ার কারণে কেন ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক বা কাউকে আটক করা হোক।’
ব্যবসায়ীদের বেশি মুনাফা না করার আহ্বান জানিয়ে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আপনাদের সমস্যা থাকতে পারে, তবে সমস্যাটি আমাদের জানাবেন। আমাদের সেলে জানান আমরা সমস্যা নিয়ে কথা বলব। আমাদের টিমও বাজার মনিটরিং এ থাকবে। বাজারে খেজুর চাহিদার তুলনায় বেশি আছে। বাজারে চাহিদার পর্যাপ্ত রয়েছে ছোলা, পামওয়েল, সয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।’
এছাড়া রমজানে ব্যবসায়ীদের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এফবিসিসিআই সভাপতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘রমজানে ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপার রয়েছে। তাই আপনারা বাজারে কোনো অস্থিরতা তৈরি করবেন না। অন্তত রমজান মাসে আপনারা সহযোগিতা করবেন।’
এফবিসিসিআই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতিসহ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।