অভিযোগ দিয়েই দেশ ছাড়লেন শাকিবের সেই প্রযোজক

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


বর্তমান সময়ে দুই খান মাতিয়ে রেখেছে পুরো দেশ। একজন হচ্ছেন পুলিশ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান। আরেকজন হচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। এই নায়কের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহ। যা নিয়ে গেল ক’দিন ধরে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

আরাভ খানের কথা বাদ রেখে কথা বলা যাক, চিত্রনায়ক শাকিব খানকে নিয়ে। শীর্ষ এই নায়কের দাবি, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আর রহমত উল্লাহ একজন ‘প্রতারক ও ভূয়া প্রযোজক’।

‘কথিত’ এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গত শনিবার গভীর রাতে গুলশান থানায়ও যান শাকিব খান। এর পরদিন রোববার বিকেলে যান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে। দুই জায়গাতেই তিনি এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে ধরেন। আর এই প্রযোজক যেন দেশ ত্যাগ না করতে পারে, তার জন্যও আইনের সহযোগিতা চান শাকিব খান।

শাকিব খানের বিরুদ্ধে গত ১৫ মার্চ প্রযোজক রহমত উল্লাহ লিখিত আকারে বিস্তর অভিযোগ জমা দেন প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে। এরপর বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টায় ১৬ মার্চ ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসেন শাকিব খান ও রহমত উল্লাহ। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসও। কিন্তু সেখানে কোনো সমঝোতার হয়নি, বরং হয়েছে উল্টোটা। যার ফল- শাকিব খানের থানায় যাওয়া।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে- এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে এই প্রযোজক দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘শাকিব বলছে, আমি ভূয়া প্রযোজক- এটা হাস্যকর। আমি যে একজন প্রযোজক এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে আছে। আর আমি যেসব অভিযোগ এনেছি তার বিরুদ্ধে, একটাও মিথ্যে না। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে এখানে কথা বলছি। কীভাবে কি করা যায়, সেই সিদ্ধান্তই নিচ্ছি। আমি কিছুদিনের মধ্যেই আইনিভাবে লড়তে বাংলাদেশে আসছি। অল্প কিছুদিন আপনারা অপেক্ষা করেন।’

অভিযোগ দিয়েই দেশ ত্যাগ করার কারণ কী জানতে চাইলে এই প্রযোজক বলেন, ‘আমি আপনাকে আগে জানিয়েছিলাম, আমার হাতে সময় কম। অস্ট্রেলিয়ায় আমার বেশ কিছু কাজ আছে। বিষয়টি আমি শাকিব খান ও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতিগুলোর কাছেও বলেছি। কারও ভয়ে আমি দেশ ত্যাগ করেনি। আমি আমার কাজের জন্যই অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আপনাদের সঙ্গে সব প্রমাণ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এবার লড়াই হবে আইনিভাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *