ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাগারে নেওয়ার সময় গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার সামনে গাড়িতে বসা অবস্থায় সাংবাদিকদের উদ্দেশে মাহি দাবি করেছেন, ‘ওরা (পুলিশ) আমাকে টর্চার (নির্যাতন) করছে।’
আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন মাহিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মাহিয়া মাহি বলেন, ‘জাজ (বিচারক) আমার সঙ্গে কোনো কথা বলে নাই। জাজ একটা কথাও বলে নাই। জাজ জাস্ট চেয়ারে বসেছেন, আর উঠেছেন। ১ সেকেন্ডের মধ্যে কোর্ট কীভাবে শেষ হয়ে যায়? কোর্ট আমার সঙ্গে কোনো কথাই বলে নাই।’
এর আগে আজ বেলা ১১ টার দিকে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাহিয়া মাহি সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এদিকে শনিবার গ্রেপ্তার পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাহি দেশের ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি প্রক্রিয়া শেষে আমরা দ্রুতই তার রিমান্ড চাইব।’
সে সময় মাহির স্বামী রকিব সরকার এখনো পলাতক রয়েছে বলেও জানান মোল্যা নজরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া চিত্রনায়িকা মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন। ফেসবুকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন এই নায়িকা।
এ ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে গাজীপুরে দুটি মামলা হয়েছে। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছেন বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া।
এ ছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের নামে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।
উল্লেখ্য, এর আগে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। এরপর তিনি ওমরা করতে সৌদি আরব যান।
আরও পড়ুন: