বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নারকীয় কাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় ২০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং অনেক আইনজীবী আহত হয়েছেন। পুলিশ দিয়ে আইনজীবীদের বের করে দেওয়া হয়েছে এবং একতরফা ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের যে ঘটনা তা কিন্তু আজকের নয়। ১৯৭৩ সালে ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে ছাত্রলীগের পরাজয় নিশ্চিত জেনে সেদিনও ডাকসু থেকে ব্যালট বক্স ছিনতাই করা হয়েছিল।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক প্রতীকী অনশনে তিনি এসব কথা বলেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের নেতা রুহুল কবির রিজভী, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীরসহ অসংখ্য নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে। আমাদের নেতা খালেদা জিয়া গত পাঁচ বছর কারান্তরীণ। যে দুই কোটি টাকার বিষয় নিয়ে উনাকে জেল দেওয়া হয়েছে, সেই দুই কোটি টাকা আজকে ১০ কোটি টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে ব্যাংকে।
বুলু বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৩টি আসনে ভোট করেছেন। কিন্তু কোনো আসনে তিনি পরাজিত হন নাই। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে প্রত্যেকটি আসনে জয় লাভ করেছেন।
প্রতীকী এ অনশনে আরও বক্তব্য রাখেন- স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির সিনিয়র নেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহীম, যুগ্ম সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ২৯৩ ভোট ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ৩০৯ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। প্রথম দিন পাল্টাপাল্টি মিছিল, দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার জেরে উত্তপ্ত ছিল সুপ্রিম কোর্ট বার এলাকা। দ্বিতীয় দিনেও একই চিত্র দেখা যায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে।