পুলিশের সামনে ব্যারিস্টার সুমনকে মারতে গেছেন সাকিব

Slider খেলা


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেই দুবাইতে একটি স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করে যান সাকিব আল হাসান। আরাভ জুয়েলার্স নামের ওই দোকানের মালিক আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম এক পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পালাতক আসামি।

তার ডাকে দুবাই গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ দলের কাপ্তান। এবার এই ইস্যুতে কথা বলেছেন সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। যিনি ব্যারিস্টার সুমন নামেই পরিচিত।

সাকিবের সমালোচনা করতে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আগের একটি ঘটনার পর হোটেল সোনারগাঁওয়ে একদিন সাকিব নাকি পুলিশের সামনেই তাকে মারতে গিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ব্যারিস্টার সুমন। ওই ভিডিওতে নানান কথার মাঝে তিনি জানান সাকিবের মারতে যাওয়ার কথা।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, জুয়ার বিজ্ঞাপনের সময় তিনি সাকিবকে নিষেধ করেছিলেন। জুয়ার বিজ্ঞাপন থেকে ফিরে আসতে প্রয়োজনে নিজে ৩ লাখ টাকা দেবেন বলেছিলেন। এর কিছুদিন পর বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ চলাকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে হঠাৎ দেখা হলে পুলিশ এবং বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনেই ব্যারিস্টার সুমনকে মারতে গিয়েছিলেন সাকিব। পরে পুলিশ বিষয়টি সামাল দেয়।

এর আগে ওই ভিডিওতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ- ডিবি থেকে সাকিবকে জানানো হয় দুবাইয়ের ওই দোকানের মালিক একজন পলাতক আসামি। তার দোকান উদ্বোধনে যেন না যায়। এরপরও তিনি গিয়েছেন। আর এটা একটা অপরাধ। সেলিব্রেটি বলে তিনি যে পার পাবেন ব্যাপারটা এরকম না।

পরে সাকিব ভক্তদের প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। তাই মানুষ হিসেবে যে ভালো না, তার পারফর্ম্যান্স অনেক ভালো হলেও তার ফ্যান হওয়া ঠিক না। তার এই ধরনের কাজগুলো মানুষের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

এরপর সুমন আরও বলেন, দিনে আট ঘণ্টা প্র্যাকটিস করে ভালো ক্রিকেটার হওয়ার সাথে আরও এক ঘণ্টা সময় দিয়ে একটা ভালো মানুষ হওয়ার দরকার আছে। কেননা এই ধরণের মানুষের বাংলাদেশে প্রয়োজন নেই। এরই সাথে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সুমন বলেন, তাকে ভালো মানুষ বানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *