আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। শুধু বুধবারই (১৫ মার্চ) জ্বালানি পণ্যটি ৫ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। এতে গত ১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে তেলের দাম। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তেলের চাহিদা কমতে পারে। এমন উদ্বেগের কারণে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম কমেছে ৩ ডলার ৭৬ সেন্ট বা ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দর স্থির হয়েছে ৭৩ ডলার ৬৯ সেন্ট।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ৩ ডলার ৭২ সেন্ট বা ৫ দশমিক ২ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৭ ডলার ৬১ সেন্ট।
এ নিয়ে টানা ৩ দিন উভয় বেঞ্চমার্কের দর পড়লো। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর তেলের দাম এত কমেনি।
হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের পতন ঘটেছে। পাশাপাশি সুইজারল্যান্ডের শীর্ষতম ক্রেডিট সুইস ব্যাংকে ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এ সেক্টরে বিনিয়োগে অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আর্থিক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাতে তেলের দরপতন ঘটেছে। এছাড়া প্রাণ ফিরে পেয়েছে মার্কিন মুদ্রা ডলার। জ্বালানি পণ্যটির ব্যাপক মূল্য হ্রাসের অন্যতম কারণও এটি।
তথ্য বিশ্লেষণ কোম্পানি ভেট্টাফির জ্বালানি গবেষণা প্রধান স্টেসে মরিস বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ফলে তেলের মূল্য হ্রাস পেয়েছে।