ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজার: মিয়ানমার জলসীমা থেকে উদ্ধার অভিবাসীদের মধ্য থেকে ২য় দফায় ফেরত আসা ৩৭ বাংলাদেশী তাদের বাড়ীর পথে রওয়ানা দিয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন শিশু থাকায় তাদেরকে রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০ জুন শনিবার দুপুরে ৪ শিশুকে কক্সবাজার সদর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আদালত তাদেরকে রেড ক্রিসেন্ট’র মাধ্যমে স্বজনদের কাছে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
অপরদিকে বাকি ৩৩ জনের নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম’র সহযোগিতায় স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান আবুল হোসেন।
১৯ জুন শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেকুবনিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট এর সাথে পতাকা বৈঠকের মধ্যদিয়ে ৩৭ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে সন্ধ্যায় বিজিবি তাদেরকে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ তাদেরকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ডরমেটরীতে রাখে। এখানে চলে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। এর আগে গত ৮জুন প্রথম দফায় ১৫০ জন বাংলাদেশীকে ফেরত আনা হয়েছিল।