তারেক রহমানের এপিএসের পক্ষে শুনানি, যা বললেন অ্যাডভোকেট কামরুল

Slider বাংলার আদালত


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুললেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

দুর্নীতি মামলার আসামি নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর পক্ষে শুনানি করা নিয়ে আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এক জুনিয়র এ মামলায় আমাকে সিনিয়র নিয়োগ করেছিলেন। আমি সিনিয়র হিসেবে ব্রিফ করেছি। হিউজ (অনেক) ফি পেয়েছি। এ কারণে আসামির পক্ষে কয়েকদিন শুনানি করেছি। গতকালও (সোমবার) অনেক টাকা ফি পেয়েছি।’

মামলার আসামি তারেক রহমানের সাবেক এপিএস এটা জানতেন না দাবি করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এ সদস্য। তিনি বলেন, ‘মামলার রেকর্ডে (নথিপত্র) কোথাও লেখা নেই যে, আসামি (নুরউদ্দিন আহমেদ অপু) তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন। সিআইডি রিপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ নেই। এমনকি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানিতে কখনও বলেননি যে, নুরউদ্দিন আহমেদ অপু তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন।’

যখন জানলেন, তখন মামলাটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই নাকি এখন বলছেন, আমি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। সরে দাঁড়ানোর প্রশ্ন এখানে আসবে কেন? গতকাল সোমবার পর্যন্ত আমি মামলায় শুনানি করেছি। আজকে আদেশের জন্য ছিল। আদেশের সময় আদালতে সিনিয়র থাকতে হবে- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সাধারণত মামলায় জুনিয়র যারা থাকেন, তারা আদালতের আদেশ রিসিভ (গ্রহণ) করেন।’

বেশি টাকা ফি পেলে আবারও অপুর পক্ষে আদালতে শুনানি করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কামরুল বলেন, ‘বিষয়টি তখন ভেবে দেখব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *