একাদশে ফিরেই বাজিমাত মেহেদী মিরাজের, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজ বল হাতে বিধ্বংসী হয়ে উঠেন এই অলরাউন্ডার। মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন মিরাজ, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ারের সেরা। তার স্পিন বিষে নীল হয়েছে ইংলিশরা। থেমেছে ১১৭ রানেই। জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৮ রান।
রোববার মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই থ্রি লায়ন্সদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন। হাসান মাহমুদের ক্যাচ বানিয়ে ৫ রানে ফেরান ডেভিড মালানকে। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
তবে আরেক ওপেনার ফিলিপ সল্টের ব্যাট আজ হয়ে উঠে বেশ চওড়া, আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলতে থাকেন এই ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেনন ওয়ানডাউনে নামা মইন আলি। পাওয়ার প্লেতে শেষে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫০ রান।
পাওয়ার প্লের পরেই বল হাতে আসেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের মতোই ম্যাচে ফেরান দলকে, ফেরান ফিলিপ সল্টকে। ভাঙেন ৩৪ রানের জুটি। ১৯ বলে ২৫ করে আউট হন সল্ট। পরের ওভারেই জশ বাটলারকে ফিরিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ, ইংলিশ অধিনায়কের স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়েছেন এই পেসার। ৬ বলে ৪ রান আসে বাটলারের ব্যাটে।
ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পতন হয় পরের ওভারেই মইন আলিকে ফেরান মেহেদী মিরাজ। আউট হবার আগে ১৭ বলে ১৫ রান করেন মইন। পরপর ৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ১০ ওভার শেষে তাদের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৬৩; অর্থাৎ শেষ ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান সংগ্রহ করতে পারে ইংলিশরা।
এরপর ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন স্যাম কারান ও বেন ডাকেট। জুটি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালান দুজনে। তবে মেহেদী মিরাজের জোড়া উইকেটে তা আর বড় হয়নি, ৩৪ বলে ৩৪ রানেই থামে সেই জুটি। প্রথমে ১৬ বলে ১২ রান করা কারান ও তারপর ০ রানে ক্রিস ওকসে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। আর নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে ১০ বলে ৩ রান করা ক্রিস জর্ডানকেও ফেরান মিরাজ।
শেষ ওভারের প্রথম বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৮ রান করা বেন ডাকেটকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান, একই ওভারে রানআউট হন রেহান আহমেদ ও জফরা আর্চার। শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানেই অলআউট হয় ইংলিশরা। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সম্মুখে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১৮ রানের।