ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত আটটি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে আজ রোববার বৈঠক করেছে বিএনপি। দলটি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলে প্রতিনিধিদের সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার সকাল ১০টায় গুলশান ২ নম্বর ৫৫ নম্বর সড়ক এবিসি ১৮ নম্বর হাউসে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়া এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ।
বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, ‘আপনারা জানেন, গণতান্ত্রিক বিশ্ব নির্বাচনসহ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তার দেখছেন, গণতান্ত্রিক অবস্থা, মানবাধিকার আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা, বিশেষ করে দেশের ভেতরে ও বাইরে আগামী নির্বাচন নিয়ে একটা শঙ্কা কাজ করছে-এ বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে আছে।’
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘এখানে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে অবৈধ দখলদার সরকার। এই প্রেক্ষাপট থাকার কারণেই এসব আলোচনা হয়েছে। আগামীবার যদি জনগণ আবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, বাংলাদেশ যে আবার সঙ্কটের দিকে যাবে-এই শঙ্কা যেমন দেশের ভেতরে কাজ করছে, দেশের বাইরেও কাজ করছে। ’
‘এই শঙ্কা থেকে তারা জানতে চাচ্ছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন কীভাবে হতে যাচ্ছে? কীভাবে এই নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায়? সবার উদ্দেশ্য একটা। বাংলাদেশের মানুষের যে চিন্তা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন, যার মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ হবে, একটি নির্বাচিত সরকার হবে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আলোচনাটা হচ্ছে’, যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বিএনপি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না-এটা আমরা খোলাখুলিভাবে বলেছি। যারা বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণ করছে, তাদের সবার কাছে এটা পরিষ্কার করা হয়েছে। কারণগুলো সবাই জানে এবং এই নিয়ে আলোচনা চলছে।’
বিএনপি নেতারা জানান, ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, স্পেন, ডেনমার্ক ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।