ভারতের ব্যবসায়ীরা চলতি সপ্তাহে স্বর্ণে ছাড় দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অর্থবছরের শেষ দিকে দেশটিতে মূল্যবান ধাতুটি কেনাবেচা কমেছে। অন্যদিকে, বিশ্বের শীর্ষ ভোক্তা চীনে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভারতীয় স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে জানানো হয়, বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্পট দামের তুলনায় চীনে প্রতি আউন্স স্বর্ণে ২৬ থেকে ৪০ ডলার প্রিমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে। এ সপ্তাহে যা সর্বোচ্চ।
উইং ফাং প্রিসিয়াস মেটালসের লেনদেন প্রধান পিটার ফাঙ বলেন, চীনে স্বর্ণালঙ্কারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে লোকজন ব্যাপক হারে স্বর্ণ কিনছেন। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মুখে মূল্য চড়া সত্ত্বেও এ ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের শেষ দিকে চীন থেকে করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। এতে ব্যাপক পর্যটক দেশে আসছেন। এখানকার স্বর্ণের বাজারে সুবাতাস বইছে।
ভারতের স্থানীয় মার্কেটে প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম কমে ৫৪ হাজার ৭৭১ রুপিতে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বরের পর যা সর্বনিম্ন। তবে দেশটিতে আউন্সপ্রতি স্বর্ণে ২ ডলার পর্যন্ত ছাড় দিতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের।
মুম্বাইভিত্তিক এক ডিলার বলেন, ভারতে স্বর্ণালঙ্কার কেনাবেচা নিম্নমূখী হয়েছে। কারণ, অর্থবছর শেষ হতে যাচ্ছে। মানুষ এখন সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারতে অর্থবছর শুরু হয় এপ্রিলে। আর শেষ হয় মার্চে।