কে বলবে এই দলটাই একদিন আগে লিভারপুলের বিপক্ষে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল? এতো বড় ধাক্কার রেশ এতো দ্রুত কাটিয়ে উঠবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, তা ভাবনার বাইরেই ছিল৷ তবে হয়েছে তাই, বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে রেড ডেভিলরা, রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আগের ম্যাচে যেই একাদশ নিয়ে সাত গোল হজম করেছিল ম্যানইউ, আজ সেই একাদশ নিয়েই মাঠে নামে এরিক টেন হাগের শিষ্যরা। হয়তো দলের প্রতি বিশ্বাস কিংবা প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত ম্যানইউ কোচের। তবে ব্রুনো ফার্দান্দেজ কিংবা কাসেমিরোরা যে কোচের ভরসা রেখেছেন বা নিজেদের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন; ম্যাচের ফলাফল তার প্রমাণ বহন করে।
পাঁচ মিনিটের মাথাতেই প্রায়শ্চিত্তের শুরু করে ম্যানইউ, দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন রাশফোর্ড। তবে ৩২ মিনিটের মাথায় সেই গোল পরিশোধ করে দেয় রিয়াল বেতিস, গোল করেন আয়োজ পেরেজ। অবশ্য এর আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল রেড ডেভিলরা, তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি এন্থনি, রাশফোর্ড, কাসেমিরোরা।
প্রথমার্ধে আরো বেশ কিছু সুযোগ সামনে আসলেও এগিয়ে যাওয়া হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, ফলে ১-১ সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে পাগলাটে হয়ে উঠে ম্যানইউ, মাঠে নেমে ১২ মিনিটের মাঝেই পেয়ে যায় দুই গোল। ৫২ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেন এন্থনি; ব্রুনো ফার্দান্দেজের এসিস্ট থেকে গোল করেন তিনি। আর মিনিট পাঁচেক পর নিজেও গোলের দেখা পেয়ে যান ব্রুনো, হেড থেকে গোল করে দলকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন এই পর্তুগিজ তারকা।
এরপর দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করে, ম্যানইউ ব্যবধান বাড়াতে কিংবা রিয়াল বেতিস ব্যবধাম কমাতে পারেননি এই সময়ে৷ তবে ৮২ মিনিটের মাথায় গোলমুখ খোলে ফেলেন ভাউট ভেগহোর্স্ট। ফলে ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় ম্যানইউ। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় এই ব্যবধানেই জয় পায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
এদিকে ইউনাইটেডের জয়ের রাতে আর্সেনাল আটকে গেছে। প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দলটা ইউরোপা লিগ শেষ ষোলোতে লিসবনের বিপক্ষে ২–২ গোলের সমতায় মাঠ ছেড়েছে।