ঢাকা: পাখিকে উড়তে দেখে মানুষের মধ্যে ওড়ার আকাঙ্ক্ষা জেগেছিল একদিন। সেসময় থেকে শুরু মানবপ্রজাতির প্রচেষ্টা। অরভিল রাইট ও উইলবার রাইটের সফলতার পর মানুষের সে স্বপ্ন সত্যি হয়। তারপর থেকে শুরু হয় উড়োযানের উন্নয়ন প্রচেষ্টা।
সময় ও প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্লেন, হেলিকপ্টার, তথা উড়োযানের আধুনিকায়নের চেষ্টা এখনও চলমান। বর্তমানে চলছে জ্বালানি হিসাবে সৌরশক্তি ও বিদ্যুতকে কাজে লাগনোর প্রচেষ্টা। এরই ধারায় চলতি বছর ৯ মার্চ আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির আল বাতেন এক্সিকিউটিভ বিমানবন্দর থেকে বিশ্বভ্রমণের উদ্দেশে আকাশে উড়াল দিয়েছে সৌরচালিত প্লেন ‘সোলার ইমপালস-২’। এবার চীন তৈরি করল বৈদ্যুতিক প্লেন।
দেশটির শেনইয়াং অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় ও লিয়াওনিং প্রদেশে অবস্থিত লিয়াওনিং জেনারেল এভিয়েশন একাডেমির যৌথ প্রচেষ্টায় প্লেনটি তৈরি করা হয়েছে। লিয়াওনিং রুইশিয়াং জেনারেল এভিয়েশন কোম্পানি লিমিটেডকে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দু’টি বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী প্লেন সরবারহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়ৈ সংবাদমাধ্যম। এই প্লেন দু’টিই বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক প্লেন।
বিএক্স১ই সিরিজের যাত্রীবাহী এই প্লেন দু’টি ডানার মোট দৈর্ঘ ১৪.৫ মিটার। দুইশ’ ৩০ কেজি ভারবহনে সক্ষম এই প্লেন ৩ হাজার মিটার উঁচুতে উঠতে পারে।
দুই ঘণ্টার মধ্যে এর ব্যাটারি চার্জ হয় জানিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে প্লেন দু’টি একটানা ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা উড়তে পারে। এদের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় একশ ৬০ কিলোমিটার।
প্রতিটা প্লেন তৈরিতে এক লাখ ৬৩ হাজার মার্কিন ডলার খরচ পড়েছে বলে জানিয়েছে শেনইয়াং অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো বৈমানিক প্রশিক্ষণ, পর্যটন, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও উদ্ধার অভিযানে ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়।