ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলায় ইসলামী বক্তার জিহ্বা কাটার ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার চট্রগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
আটকরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের জাকির হোসেন জাককু (৪৮), একই গ্রামের মাহবুবুল আল শিমুল (৩৩), উপজেলার চাওড়া দৌলতবাড়ীর সুমন (৩৫) ও কুমিল্লার দেবিদ্বারের বাসিন্দা মো. আমিরুল ইসলাম রিমন (২০)।
র্যাব-৯’র অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ মার্চ রাতে ইসলামী বক্তা শরীফুল ইসলাম নুরী ও তার সহযোগী বিজয়নগর এলাকার দৌলতবাড়ী দরবার শরীফের মাহফিল শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামের রেলক্রসিংয়ের কাছে তাদের অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এ সময় আসামিরা শরীফুলের মুখে আঘাত করলে তার জিহ্বা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তারা শরীফুলের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকেও মারধর করে গুরুতর জখম করেন ও ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
এই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোচিত হয়। পরে শরীফুলের চাচা মো. আব্দুল বাছির ভূইয়া বাদী হয়ে ২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব তদন্ত শুরু করে। গতকাল র্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকা ৪ জনকে চট্টগ্রাম জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান ইসলামী বক্তা শরীফুল ইসলাম নুরীর সেদিনের ওরসের বক্তব্যের কিছু অংশ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। সেই বক্তব্যে তারা শরীফুলের ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে শরীফুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। যার ফলশ্রুতিতে, ওরস থেকে ফেরার পথে শরীফুল ওপর অতর্কিত হামলা করেন।
এ সময় র্যাব-৯ সিপিসি-১’র কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম উপস্থিত ছিলেন।