সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা হলো সাতজন।
রোববার (৫ মার্চ) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত প্রবেশ লাল শর্মা, একই থানার ভাটিয়ারী ৬ নম্বর ওয়ার্ড মতিলাল শর্মার বাড়ির মৃত মতি লাল শর্মার ছেলে।
চমেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ নুর উল্লাহ আশেক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত প্রবেশ লাল শর্মা নামে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে রোববার বিকেলে সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ছয়জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিস্ফোরণে আগে নিহত ছয়জন হলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী জাহানাবাদ এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামছুল আলম (৫৬), ভাটিয়ারী বিএমএ গেট এলাকার আবুল বাসার মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া এলাকার চিকি রোঙ্গী লখরেটের ছেলে রতন লকরেট (৪৫), নোয়াখালী জেলার মাইজদী থানার অলিপুর এলাকার মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে আবদুল কাদের (৫৮), লক্ষ্মীপুর জেলার কমল নগর থানার চর লরেন্স এলাকার মহিদুল হকের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিন (৩০) ও ময়মনসিংহ জেলার সেলিম রিচিল।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। কারা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তা খুঁজে বের করা হচ্ছে।