সম্ভাবনার আলো জ্বেলেই চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখেন গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী অমৃতা খান। তন্বী চেহারা, শারীরিক সৌন্দর্য, উচ্চতা, নাচ, পারফরম্যান্স, অভিনয় সবদিক দিয়েই চলচ্চিত্রের একজন প্যাকেজ অভিনেত্রী হিসেবে ভাবা হচ্ছিল তাকে। চলতি বছরের শুরুতেই অমৃতা অভিনীত প্রথম ছবি ‘গেইম‘ মুক্তি পায়। এ ছবিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। এরপর একে একে মুক্তি পায় তার অভিনীত ছবি ‘পাগলা দিওয়ানা’ এবং ‘গুণ্ডা-দ্য টেরোরিস্ট’। এতে চিত্রনায়ক বাপ্পির বিপরীতে অভিনয় করেন অমৃতা। চলতি বছর আরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল তার। কিন্তু সেটা আর হয়নি। কারণ, বাবার চাকরিসূত্রে গেল চার মাস কিরজিগিস্তানে ছিলেন অমৃতা। সেখানে মিডিয়া থেকে দূরে অন্যরকম একটি সময় পার করেছেন তিনি। চলতি মাসের ২ তারিখ দেশে ফিরেছেন এ অভিনেত্রী। এতদিন পর দেশে ফেরার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে অমৃতা খান বলেন, আমি ছিলাম প্রবাসে। তবে মন পড়েছিল প্রিয় বাংলাদেশেই। বাবার চাকরির সূত্রেই কেবল কিরজিগিস্তানে যেতে হয়েছে। অবশ্য সেখানে অবসর একটা সময় কাটালাম। কাজ করতে করতে একটা ক্লান্তি চলে এসেছিল। সেটা দূর হয়েছে সেখানে ছুটি কাটিয়ে। এখন দেশে এসে অনেক শান্তি লাগছে। এদিকে দেশে ফিরেই অমৃতা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পড়াশোনা নিয়ে। বর্তমানে ও লেভেলে পড়ছেন তিনি। এখন পড়াশোনার চাপটা একটু বেশিই তার। বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্লাস করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অমৃতা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ও লেভেল শেষ না করা পর্যন্ত তিনি আর চলচ্চিত্রে কাজ করবেন না। তবে ছোট পর্দার বিজ্ঞাপন ভাল মানের হলে টুকটাক করবেন। এ বিষয়ে অমৃতা বলেন, ঈদের প্রচুর কাজের প্রস্তাব আসছে। অনেক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবও এসেছে। কিন্তু কিছু করার নেই। আমি কোন কাজ করছি না আপাতত। কাজের লোভ সামলে নিচ্ছি। কারণ, আমার বাবা-মা বলেছেন আগে পড়াশোনা, তারপর বাকি সব। আমি তাদের কথা দিয়েছি এ লেভেল শেষ করেই আমি কাজ শুরু করবো। এই কথা আমি রাখতেই চাই।