রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছেন একই ইনস্টিটিউটের এক ছাত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী ফাতিন নাওয়াল আল-বারী ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্র। তিনি তার অভিযোগপত্রে একই ইনস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আতিফা হক শেফা, আতিকুর রহমান, তাজনোভা থিমি, মেহেদী হাসান, শাহবাজ আহমেদ তন্ময় ও আকাশ মাহবুবকে অভিযুক্ত করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আতিফা হক শেফা, আতিকুর রহমান ও তাজনোভা থিমি ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে রয়েছেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে একটি রেস্তোঁরায় খেতে যান ফাতিন নাওয়াল। সেখানে অভিযুক্তদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। অভিযুক্তরা সেখানে নানাবিধ অশালীন কথাবার্তা ও অপ্রত্যাশিত অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন।
এই ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এটা নিয়ে পরবর্তী সময়ে অভিযুক্তরা তাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। এরপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীকে ডেকে শারীরিক নির্যাতন করেন অভিযুক্তরা। এছাড়া, সিনিয়রকে দিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী শেফা। এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্র।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, ‘এটি খুবই তুচ্ছ ঘটনা। সে আমাদের খুবই কাছের ছোট ভাই। বিষয়টা ইনস্টিটিউটের স্যারদের জানানো হয়েছে। তারা এটি দেখছেন।’
আরেক অভিযুক্ত আতিফা হক শেফাকে তার মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনায় ইন্সটিটিউটে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা অভ্যন্তরীণভাবে বিষয়টা দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘র্যাগিং ও নির্যাতনের একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে বিভাগের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’