গাজীপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি বিরোধপূর্ণ মাছের প্রজেক্ট ও বাঁধ পরিদর্শনে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের উপর হামলা হয়েছে। এসময় একাত্তর টিভি ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার গাজীপুরে স্টাফ রিপোর্টার ইকবাল আহমদ সরকার, আর টিভির গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার আজহারুল হক ও মানবকণ্ঠ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি শামসুল হক ভুঁইয়াসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী ওই সময়ে আহত হওয়া চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খানের চাচাত ভাই নুরু খান। তবে এখনো কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সকল স্তরের সামাজিকরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আহত সাংবাদিকরা জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নের চিলনী, রোসাদিয়া ও কুমুন এলাকায় স্থানীয় লোকজনের বিলের জমি ঘিরে নির্মিত একটি বাঁধ কেটে দিয়ে কৃষকের জমি ও খাল অবমুক্ত করার দাবি জানিয়ে গ্রামবাসীদের পক্ষে দুই শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরসহ উপজেলা প্রশাসনে আবেদন জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন। এ বিষয়ে গত সপ্তাহের দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ও আজকের গাজীপুর পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এছাড়া ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ নিয়ে মানববন্ধনের খবর মাই টিভিসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত হয়। গত বুধবার রাতেও বাধ নিয়ে ভুক্তভোগী কয়েকজন সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির সঙ্গে দেখা করেন। এরপর রাতে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী সাংবাদিক ইকবাল আহমদ সরকারকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি সকালে বাড়ীয়ার ঘটনাস্থলে যাবেন এবং সাংবাদিককে ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন দিয়ে ওই সাংবাদিককে বলেন, আমি উপজেলা থেকে রওনা দিচ্ছি আপনারাও চলে আসুন। এরপর তাদের সাথে ঘটনাস্থলে গেলে এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের আগে প্রকাশিত ও প্রচারিত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরাদ আলী ও উপজেলা প্রকল্প পরিচালক কুতুব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। আহত সাংবাদিকরা শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। তাদের সাথে আহত হওয়া স্থানীয় নুরু খান বাদি হয়ে হাবিবুর রহমান খান, মাইদুল ইসলাম, সফিজ উদ্দিন ওরফে সাফি, সবুজ, মোবারক খান ও কাঞ্চন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরাদ আলী জানান, তিনি বুঝে উঠতে পারেননি এমন নেক্কারজনক জন্য ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ বিষয়ে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।