মন্দিরে কোরআন রাখা সেই যুবকের ১৬ মাসের কারাদণ্ড

Slider বাংলার আদালত

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি মো. ইকবাল হোসেন দোষ স্বীকার করায় তার ১৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ দণ্ডের আদেশ দেন।

স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করায় গ্রেপ্তারের পর থেকে এ পর্যন্ত ইকবাল হোসেনের কারাভোগকেই সাজা হিসেবে রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সে হিসেবে তার এক বছর চার মাস কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।

ওই ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম জানান, মামলাটিতে বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালতে ৫ জন সাক্ষী হাজির হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর সময় আসামি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার আইনজীবী নেই। আমি আর কি জেরা করব স্যার। আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। আমি অনুতপ্ত। আমি আর এ ধরণের অপরাধ করব না।’

এরপর আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এক বছর চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এর আগে এ মামলার আরেক আসামি রোকন মিয়াও দোষ স্বীকার করেন। আদালত তার কারাভোগকেই সাজা হিসেবে প্রদান করেন।

মামলায় বলা হয়, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়া দীঘির ওই পূজামণ্ডপে থাকা হনুমানের মূর্তির কোলে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন রাখা ছিল। তখন হনুমানের মূর্তির হাতে থাকা গদাটি পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *