মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ায় আরও দুটি উপজেলা গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে। এ দুটি উপজেলা হলো কাহালু ও ধুনট। মার্চে কাহালুতে আরও ১০টি এবং ধুনটে ২৮টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে উপজেলা দুটিকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে দুপচাঁচিয়া ও নন্দীগ্রাম উপজেলা গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
জানা যায়, বগুড়ায় আবারও ১ হাজার ৪১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন। এর মধ্যে কাহালুতে ১০টি ও ধুনটে ২৮টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। এরপর এ দুই উপজেলায় আর কেউ গৃহহীন থাকবেন না।
বগুড়া জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর পেয়ে সংসার শুরু করেছে অনেকে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, তাদের ঠাঁই হয়েছে। যাদের ভূমি ছিল না, তারা এখন ভূমির মালিক। উপকারভোগীরা সরকারের দেওয়া ঘর পেয়ে আনন্দে বসবাস করছেন। জেলায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৭২ জন। এরই মধ্যে ৪ হাজার ৮০৫টি ঘর ভূমি-গৃহহীনদের হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে জেলায় ‘ক’ তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৪৫২ জনকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে একই বছর জুনে বিতরণ করা হয় ৮৫৭টি ঘর। তৃতীয় পর্যায়ে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল বিতরণ করা হয় ৯৩০টি। ২১ জুলাই ৩৫৪টি ঘর দেওয়া হয় ভূমি ও গৃহহীনদের। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ঘর নির্মাণ করে তা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বগুড়ায় বিভিন্ন সময়ে ঘর হস্তান্তর করে নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হয়। বগুড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ঘরগুলো হস্তান্তরের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ডেপুটি কালেক্টর নুরুল ইসলাম বলেন, এখানে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করা হচ্ছে মার্চে যে সব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হবে সেগুলো হস্তান্তর করা হবে। সোনাতলার ইউএনও সাঈদা পারভীন জানান, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে এবার জেলার কাহালু ও ধুনট উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।