ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি : ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ্ নেতাকর্মীদের উদ্ধেশ্যে বলেছেন, আমি এলাকায় চাদাবাজীর রাজনীতি করি না। আমি অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য রাজনীতি করি। আগামী নির্বাচনে আপনারা যদি দয়া করে আমাকে (কাজী জাফর উল্লাহকে) সুযোগ দেন, তাহলে আপনার সন্তানের শিক্ষার ভবিষ্যত, চাকরীর ভবিষ্যত আমি নিশ্চিত করবো ইনসআল্লাহ।
বর্তমান মাননীয় এমপি, (ফরিদপুর -০৪) নিক্সন চৌধুরী প্রায়ই আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেন, যা ভুঁয়া ও মিথ্যা। আমি বিনিতভাবে আপনাদের অনুরোধ করবো কারও মিথ্যা কথায় কান দিবেন না। আমি কোনদিন অতিথি হিসেবে আপনাদের কাছে আসিনি। আপনারা আমাকে সবাই চিনেন, আমার বাড়ির খবর সবাই জানেন, আমার হাড়ির খবরও সবাই জানেন। আমি অন্যায়ভাবে কারও কাছ থেকে টাকা নেই নাই এবং কোনদিন নিব না। আজ রবিবার সকালে উপজেলার মুনসুরাবাদ সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত হামিরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কাজী জাফর উল্লাহ।
কাজী জাফর উল্লাহ আরো বলেন, যদি দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন চান, যদি সত্যিকারের অর্থে ভবিষ্যত গড়তে চান তাহলে নৌকার বিকল্প নাই। বিগত নির্বাচনে আপনারা ভুল করেছেন। নির্বাচনে নগত কিছু টাকার জন্য আপনার পবিত্র ভোটটি বিক্রি করবেন না। শেখ হাসিনার রাজনীতি উন্নয়নের রাজনীতি। যার ফল আপনারা ভোগ করছেন। পদœা সেতু কিন্তু সারা বিশ্বেই একটি চমক। মাত্র দেড় ঘন্টায় ঢাকা থেকে ভাঙ্গায় পৌছানো যায়, এটা শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গায় রেল লাইন চালু হবে, মাত্র ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ভাঙ্গায় পৌছানো যাবে। তাই, আসুন আমরা সবাই মিলে নৌকার পক্ষে থাকি। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকায় ভোট দিয়ে তাকে চতুর্থবারের মত সফল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করি।
হামিরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিরাজ মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজিম মিয়ার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী হেদায়েত উল্লাহ সাকলায়েন ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফাইজুর রহমান, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) সাইফুর রহমান মিরণ ও সাধারণ সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) আকরামুজ্জামান রাজা প্রমুখ।