বাগেরহাটে পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে বিএনপির পদযাত্রা। এ সময় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আহ্বায়কসহ ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাট শহরে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না, জেলা তাঁতি দলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু, চিতলমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নুল পারভেজ সুমন, জেলা যুবদল নেতা নাসির আহমেদ। বাকি নেতাকর্মীদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
পুলিশের বাধায় পদযাত্রা পণ্ড ও দলীয় নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘পৌর শহরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেয়। তখন দলীয় ৪০ নেতাকর্মী আটক করা হয়। এখনো শহরের অলিগলি থেকে নেতাকর্মীদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির এই নেতা পদযাত্রা বানচাল ও দলীয় নেতাকর্মীদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম পল্টু, ব্যারিস্টার শেখ জাকির হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা তালুকদার রুমীসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আজ জেলা বিএনপি ও জেলা আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ছিল। সে কারণে উভয় দলকে কর্মসূচি করতে আমরা নিষেধ করি। বিএনপি তা উপেক্ষা করে পদযাত্রার আয়োজন করে এবং নাশকতার আশঙ্কা আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় ২০-২৫ জনকে আটক করা হয়। আমরা যাচাই-বাছাই করছি। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।’