মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ একুশ বাংলাদেশে কেমন পালন হয় তা দেখতে অভিভুত পশ্চিমবঙ্গের– “বালুরঘাট ছন্দম ” নামের নাচের স্কুলের নৃত্য শিল্পী, সংগঠন এবং বালুরঘাট সাহিত্য সংগন “মুক্তাক্ষর” এর কবিদের ১২ সদস্য বিশিষ্ট দল। বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আমন্ত্রণে তারা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শহর বালুর ঘাট থেকে এসেছেন।
রাত ১২টা ১ মিনিটে বগুড়ার শহীদ বেদীতে ফুল দেয়ার দৃশ্য এবং ভোর থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ফুল দেয়ার দৃশ্য দেখে অভিভুত। দু,টি সংগঠনই সকালে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করলো। লাইনে দাড়িয়ে হাজার হাজার মানুষের সাথে তারা অপেক্ষা করলেও এতটুকু ক্লান্তি বোধ করেনি।
রাত ৮টায় “ছন্দম” ও মুক্তাক্ষর নাচ আর কবিতায় মুগ্ধ করে রেখেছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ সিদ্দিকী, দপ্তর সম্পাদক এইচ আলীমসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে নৃত্যে ছিলেন, পল্লবী সরকার,বনশ্রী দাস, পৃত্থীরাজ লাহা, পুষ্পিতা ওরাও, সম্রাজী মজুমদার।
ছন্দমের নৃত্যানুষ্ঠান এবং মুক্তাক্ষরের স্বরচিত কবিতা পাঠ শেষে ছন্দমের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে উত্তরীয় প্রদান করা হয়। মুক্তাক্ষরের পক্ষ থেকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সম্মাননা দেয়া হয়। আগত অতিথিদের সমিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে সম্মাননা ও মেডেল প্রদান করা হয়।
ছন্দমের সাধারণ সম্পাদক পূর্বা বঙ্গোপ্যাধায় বললেন, মায়ের ভাষা বাংলা। বাংলাদেশে ভাষা দিবস এত প্রানের স্পর্শ দিয়ে পালন হয় চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না। এক কথায় মুগ্ধ, বার বার আসতে মন চায়।
মুক্তক্ষরের সভাপতি দেবাশীষ অধিকারী অভিব্যাক্তি প্রকাশ করে বলেন, কেউ দেখে তাজমহল, কেউ আইফেল টাওয়ার। আমি দেখলাম বগুড়ার বইমেলা এবং অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষা এবং বাংলার মুখ। প্রান ছুয়ে গেছে বগুড়ার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এবং প্রসাশনের আয়োজনে প্রানের অনুষ্ঠান।
কবি তপন কুমার পাল বললেন, আমরাও বাঙ্গালী কিন্তু বিশ্বমাতি ভাষা প্রান, মন দিয়ে পালন করে বাংলাদেশ। দেখে গেলাম শুধু মুগ্ধ নয়, প্রানে গেথে নিলাম। ছন্দমের সদস্য একতা দে, পল্লবী দাস, পৃত্থীরাজ বললেন, বইমেলা এবং একুশ উদযাপন দেখে মনে হচ্ছে থাকি না কেন। সমাজকর্মী দীপক ঘোষ জানালেন, শুধু আমাদের অংশগ্রহণ নয় এটা, দুই বাংলার মিলন মেলা এটা।
বাচিক শিল্পী একতা দে বলেন, কিভাবে বর্ননা করবো বগুড়ার তথা বাংলাদেশের একুশ উদযাপন চোখের দেখা, মনের দেখায় একাকার হয়ে গেছি। বারবার আসতে ইচ্ছে করে এই বাংলায়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, অসাধারণ উপস্থাপনায় সাথে দেশের গান এবং নাচের সমন্বয় মুগ্ধ করেছে আমাকে এবং হাজার হাজার দর্শককে।