নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় ভাবির বাড়ি থেকে দেবরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নাজিরপুর গ্রাম থেকে সাকিবুল ইসলাম সোহাগ (২৮) নামের ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সোহাগ ওই গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকার অগ্রণী ব্যাংকে আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, ৬ বছর আগে সোহাগের চাচাত ভাই মোজ্জামেল হক মারা যান। তার পর থেকে সোহাগের সঙ্গে মোজ্জামেলের স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার পারিবারিকভাবে সালিশ করেও সমাধান করা যায়নি। মোজ্জামেলের স্ত্রী সোহাগকে হত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ছুটি কাটানোর জন্য বৃহস্পতিবার কর্মস্থল থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন সোহাগ। হঠাৎ পাশের বাড়ি থেকে সোহাগ মারা যাচ্ছে বলে চিৎকার শুনে সবাই ওই বাড়িতে (চাচাত ভাইয়ের স্ত্রীর বাড়ি) গিয়ে সোহাগকে উলঙ্গ অবস্থায় বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাতে মেডিকেলে নিয়ে আসার আগেই সোহাগ নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত যুবকের সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।