জনসভায় যোগ দিতে আগামীকাল শনিবার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীরাও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
শনিবার কোটালীপাড়ার টিটি (তালিমপুর তেলিহাটি) হাই স্কুল মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। পরে বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কোটালীপাড়ার মানুষের মধ্যে আনন্দ উৎসব চলছে। দীর্ঘদিন পর শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখতে পারার আনন্দে আত্মহারা এখানকার মানুষ।
কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুর্ষ মধু বলেন, ‘আমরা ভোট দিয়ে যাকে সংসদ সদস্য করি, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। এজন্য আমরা গর্বিত।’
সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভীম চরন বাকচী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ অধির আগ্রহে আছেন আগামী ২৫ তারিখের জন্য। সবার মুখেই একটি কথা- কখন আমাদের জননী শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখতে পাব।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আয়নাল হোসেন বলেন, কোটালীপাড়ার জনসভা স্মরণকালের সেরা জনসভা হবে। জন সভাস্থলের আরও কয়েক কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে জনতার ঢল। জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহাব উদ্দিন আজম বলেন, জনসভাস্থল ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার ৪৮টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন বলে তারা জানান।
কোটালীপাড়া জনসভার প্রধান সমন্বয়ক বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, কোটালীপাড়ার জন সভাস্থল ছাড়াও অন্তত ৫ কিলোমিটার এলাকা ওই দিন জনসমুদ্রে পরিণত হবে।