মুরগির উত্তাপে এবার ডিমের দামও নাগালের বাইরে

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


এবার মুরগির উত্তাপে ডিমের দামও সাধারণের নাগালের বাইরে। এক মাসের কম সময়ে আমিষ জাতীয় খাদ্যপণ্য দুটির মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ৮৫ থেকে ৯০ এবং ফার্মের প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায়। বড় বাজারগুলোতে ২৩৫ টাকায় কেনা গেলেও পাড়া-মহল্লায় তা ২৪০ টাকা। অথচ এক মাস আগেও বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি। সোনালি জাতের মুরগির কেজিতে গত এক মাসে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এক মাস আগে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা ৩০০ থেকে ৩২০। একইভাবে দেশি মুরগির দামও ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়।

এদিকে ব্রয়লারের দাম বাড়ার কারণে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ভোক্তারা যখন ডিমে ঝুঁকেছেন। তখনেই বেড়ে যায় ডিমের দাম। বড় বাজারগুলোতে খুচরা ব্যবসায়ীরা এখন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১৪০ টাকা দরে। তবে পাড়া-মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। মাসখানেক আগে ডিমের ডজন কেনা গেছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।

ভোক্তাদের অভিযোগ, অল্প কয়েক দিনে বাজার অস্থির হলেও সরকার এ বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। খরচ কমাতে অনেকেই ব্রয়লারের পর এখন ডিম কেনাও কমিয়ে দিয়েছেন।

দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বিক্রি কমে গেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা জানান, মুরগির খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। খামারির সংখ্যা কমে গেছে। এতে ডিমের উৎপাদনও হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে রমজানে ডিমের চাহিদা কম থাকে। কয়েক দিনের মধ্যেই ডিমের বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

এদিকে দাম বাড়ার জন্য খামারিরা দায়ী করছেন মুরগি উৎপাদনকারী করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক খামারিরা বাজারে প্রতিযোগিতায় না থাকায় ডিম ও মুরগির সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত এক মাসে ব্রয়লারের দাম বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ। আর ডিমের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশের বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *