ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতন ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে মুখোমুখি হয়েছেন ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা। আজ বুধবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবনের আইন বিভাগে চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের রুমে তাদের মুখোমুখি করানো হয়।
এসময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ফুলপরী। উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, তার হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত নেত্রী।
অভিযুক্ত অন্তরা ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। হাত-পা ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। যা হওয়ার, তদন্ত কমিটি করবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘পা ধরে ক্ষমা চেয়েছে এমন দাবি যদি করে, ফুলপরী তাহলে ভুল। আমরা তদন্তরের স্বার্থে শুধু এতটুকু বলব এমন কিছু হয়নি।’
বিষয়টি কি সমঝোতার দিকে যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘সমঝোতার কোনো প্রশ্নই আসে না, আমরা তদন্ত কমিটিতে সমঝোতার জন্য বসে নেই। আমাদের যা দায়িত্ব তা আমরা পালন করছি। তদন্তের তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য আমরা দুইজনকে একসঙ্গে করেছিলাম।’
উল্লেখ্য, ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও ৭-৮ জন জড়িত বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।