স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে আজ সোমবার ২ কোটি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১৫ লাখ শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে অবহতিকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায়ে লজিস্টিকস পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। লাল রঙের ক্যাসপুল আছে ২ লাখ আইইউ, যার মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। আর নীল রঙের ক্যাপসুল আছে ১ লাখ আইইউ, যার মেয়াদ আছে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা দেশে কেন্দ্রসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। স্বাস্থ্যসেবীর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার। আর স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ৬ মাসের কম বয়সী এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।