হাফিজুল ইসলাম লস্করঃ সিলেটে বিভিন্ন অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্য বৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ভোগান্তি বাড়ছে সাধারন মানুষের। ফলে ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে অনিশ্চিত এক জীবনের গ্লানীতে পতিত হচ্ছে সাধারন মানুষ।
জীবন ধারনের জন্য উচ্চ মুল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্য ক্রয়ের ফলে বাড়ছে ঋনের বোঝা। ফলে তিলে তিলে মানুষ হচ্ছে দেউলিয়া। দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতির ফলে দেউলিয়াত্ব জীবন থেকে মুক্তির সম্ভবনা হচ্ছে ক্ষীণ। ফলে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে সিলেটের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন।
পিয়াজ ও লবনের পর এখন হঠাৎ করে বেড়েছে
ব্রয়লার তথা ফার্মের মুরগের দাম। ১১০ থেকে ১২৫ টাকার ব্রয়লার মুরগের কেজি বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকায়।
বেড়েছে সোনালি মুরগেরও দাম। সোনালি মুরগের দাম কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৬০ থেকে ৫৪০ টাকায়। এছাড়া বেড়েছে ডিমের দাম। ব্রয়লার মুরগীর প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ক্রয় সীমার নাগালের বাইরে হওয়ায় ব্রয়লার মুরগ ক্রয় করা ছেড়ে দিচ্ছেন নিম্নবিত্ত মানুষ। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা। ব্রয়লার মুরগের দাম হুট করে বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারারও।
ব্রয়লার মুরগের রেকর্ড মুল্য বৃদ্ধি অতিক্রম করেছে দ্রব্যটির পুর্বের সকল রেকর্ড। দেশের বাজারে ব্রয়লার মুরগের সর্বোচ্চ মুল্য বৃদ্ধি অগ্রগতির অন্তরায় বলে মনে করেন সচেতন জনগন।
উত্তেজিত এক ক্রেতা বলেন, এভাবে মুল্য বৃদ্ধি করে তিলে তিলে মারার চেয়ে একেবারে মেরে ফেলাই ভালো। তাতে তারাও শান্তি পাবে আর আমরাও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পাবো।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে ব্রয়লার মুরোগের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা সাধারন মানুষের সাথে চক্রান্তের নামান্তর। মুরগের দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। গত কয়েকদিন আগেও মুরগের দাম কিছুটা কম ছিলো। সাপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এমনিতেই বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম লাগাম ছাড়া। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের একমাত্র ভরসা ছিল এই ব্রয়লার মুরগ। কিন্তু এখন দেখছি মুরগও ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। এভাবে চলতে থাকলেতো আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। জনগনের স্বার্থে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের দাম নিয়ন্ত্রনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
ব্রয়লার মুরগের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে বিক্রেতাদের বক্তব্য, দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে কিছুই জানেন না তারা। তবে ব্রয়লার খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও বাচ্চার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে মুল্যের উর্ধগতি। এছাড়াও ঢাকা থেকে বাড়তি দামে ক্রয় করে বাড়তি দামে বিক্রয় করতে গিয়ে ক্রেতাদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে কমে গেছে বিক্রিও। বাজার চাহিদার সঙ্গে উৎপাদন বাড়লেও কাঁচাবাজারের মতো ডিম ও মুরগির বাজারেও অস্থিরতা দেখা দেয়। বাজর নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ দৃশ্যমান কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। ফলে হতাশা বাড়ছে খুচরা ব্যবসায়ী ও সাধারন ক্রেতাদের মাধ্যে।