পিকনিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাতায়াতে অস্থায়ী রুট পারমিটের জন্য ডিএমপির অনুমোদন নেওয়ার আদেশ জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার ট্রাফিক বিভাগ থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
সেই আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, আর্থিক সংস্থা ও বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা সফর, বনভোজন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা যেকোনো উৎসব অথবা এ জাতীয় অন্যান্য অনুষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য অস্থায়ী রুট পারমিট/ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের অনুমতি প্রদানের জন্য আবেদন করে থাকেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, দাখিলকৃত আবেদন যথাযথ মাধ্যমে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করা হয় না। ফলে আবেদনকারীকে যথাযথ সেবা ও অস্থায়ী রুট পারমিট প্রদান করা সম্ভব হয় না।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে যথাযথভাবে আবেদন করতে বলা হয়।
আদেশে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়
১. আবেদনপত্র অবশ্যই পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ৩৬ শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণী, ঢাকা-১০০০ বরাবর প্রেরণ করতে হবে।
২.আবেদনে উল্লিখিত গাড়িসমূহের রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র ও ফিটনেস সনদপত্রের ফটোকপি অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে।
৩. অস্থায়ী রুট পারমিটের আবেদনপত্র ভ্রমণের তিন দিন আগে বর্ণিত ঠিকানায় জমা দিতে হবে।
৪. আবেদনপত্র অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট প্যাডে করতে হবে।
৫. আবেদনকারীর পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর আবেদনপত্রে অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে।
৬. অস্থায়ী রুট পারমিট শুধু আবেদনে উল্লিখিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য হবে।
৭. ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত অনুমোদনপত্র ভ্রমণের সময় গাড়ির চালকের নিকট সংরক্ষণ করতে হবে এবং সড়কে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনে প্রদর্শন করতে হবে।
৮. কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অস্থায়ী রুট পারমিট যেকোনো সময় বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করবে।
৯. অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুনিবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা সফর, পিকনিক এসব অনুষ্ঠানে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’