তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৪৭২ জনে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের মতে, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৬৭২ জনে। আর সিরিয়ায় সরকারি ও বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত উভয় এলাকায় মোট নিহত হয়েছে পাঁচ হাজার ৮০০ জন।
মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ ভূমিকম্পটি আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে বরফ-শীতল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে, এরদোগান এই ভূমিকম্পকে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের সাথে তুলনা করেছেন। তার কথায়, পরমাণু বিস্ফোরণ হলে এমন ভয়াবহতা দেখা যায়। তিনি জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে দুই দশমিক দুই মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন। হাজার হাজার বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, শহরের ভেতর একটি বাড়ি সোজা দাঁড়িয়ে নেই। ভূমিকম্পে সব ধসে পড়েছে। কার্যত এক মৃত্যু-উপত্যকায় পরিণত হয়েছে দক্ষিণ তুরস্কের বিপর্যস্ত অঞ্চল।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আরো বেশি সাহায্যের প্রয়োজনের কথা বলেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্য ও উদ্ধারকারী দল ইতোমধ্যেই তুরস্কে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো লাখ লাখ মানুষ।