গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ৬ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট টাইটাস হিল্লোল রেমা।
এর আগে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একরামুল হক টুটুল গাজীপুরের স্থানীয় এক বাসিন্দার পক্ষে এই রিটটি দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এরপর ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতিবছর হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ২০২২ সালের জুনে জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর জন্য দুদকের পক্ষ থেকে একটি অনুসন্ধান টিমও গঠন করা হয়। এদিকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে। এর ফলে তিনি পুনরায় মেয়র পদে ফেরার আশায় রয়েছেন।