জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য বিদ্যমান যে বরাদ্দ রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থায়ন বাংলাদেশের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে একে কার্যোপযোগী করার ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
গতকাল রবিবার সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের এক আলোচনায় এসব কথা বলেন গোয়েন লুইস। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ সামনে রেখে অগ্রাধিকার নির্ধারণে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে উঠে জলবায়ুসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল অর্থ কেবল সরকারের জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। যেসব জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তাদের সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বিদ্যমান তহবিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবহার করতে হবে। জনগণের যদি দুর্যোগের আঘাত সহ্য করার সক্ষমতা বেশি থাকে, তাহলে বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে।
আলোচনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ অর্থায়ন ও প্রযুক্তির জোগান প্রয়োজন। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান এবং মুজিব জলবায়ু ও সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সহায়তা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের ব্রিটিশ হাইকমিশনের উন্নয়ন পরিচালক ম্যাট ক্যানেল জানান, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা প্রদান করছি। পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধির ১.৫ ডিগ্রি সীমা ধরে রাখার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কার্যক্রম সমুন্নত রাখছি।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে স্বাক্ষর করে ১৫৪টি দেশ। তারপর থেকে প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলন কপ প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এটি কমিয়ে আনার উপায় এবং অর্জিত অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সবশেষ সম্মেলন কপ-২৭ অনুষ্ঠিত হয়েছে মিশরে।