গ্রাম বাংলা ডেস্ক: একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে সাকিব আল হাসান ও মিমছয় মাস ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারবেন না। দেড় বছর খেলতে পারবেন না আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলোতে। সাকিব আল হাসানের এই নিষেধাজ্ঞার সংবাদ শুধু ক্রিকেট-অঙ্গনে নয়, বিনোদন জগতেও আলোড়ন তুলেছে।
আলোড়ন তুলেছে আরেকটি কারণে। একাধিক বিজ্ঞাপনে কাজ করা সাকিবকে এখন থেকে নতুন কোনো বিজ্ঞাপনে কাজ করার আগে নিতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুমতি। শুধু সাকিব নয়, বিসিবির চুক্তিবদ্ধ সব ক্রিকেটারের জন্যই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান আজ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এখন থেকে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংয়ের আগে পণ্য-প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ক্রিকেট বোর্ডকে অবহিত করতে হবে। তারপর বোর্ডের সদস্যদের অনুমতি লাগবে। সব ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।’
বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ক্রিকেটের মতো বিজ্ঞাপনচিত্রে নিজেকে অপরিহার্য করতে সক্ষম হয়েছিলেন। পণ্য-প্রতিষ্ঠানগুলোও সাকিবের জনপ্রিয়তাকে তাদের পণ্যের প্রচারে ব্যবহার করেছে। খুব অল্প সময়ে সাকিব হয়ে ওঠেন মডেলিং জগতের সবচেয়ে দামি তারকায়।
দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে চলছে এখন সাকিবের বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্র। সাকিবের ওপর আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞায় এসব বিজ্ঞাপনচিত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকেই। তবে এসব বিজ্ঞাপনের প্রচারণায় কোনো বাধা নেই।
সাকিব বর্তমানে টিফিন বিস্কুট, লাইফবয়, রানার মোটরসাইকেল, বাংলালিংক, পোলার আইসক্রিম, লা রিভসহ বভিন্ন পণ্যের দূত হিসেবে কাজ করছেন।