দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার খবরে উল্লাস চলছে পাবনায়। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগেমাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকে। তাৎক্ষণিকভাবে আনন্দ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়। চলতে থাকে মিষ্টি মুখ করানো। দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় পথচারী ও রিকশাচালকদের মিষ্টি মুখ করানো হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম বলেন, ‘সাহাবুদ্দিন একজন পরীক্ষিত যোগ্য ব্যক্তি। তিনি আমাদের গর্ব, অহংকার। প্রধানমন্ত্রী একজন যোগ্য ব্যক্তিকে ২২তম রাষ্ট্রপতি মনোনীত করায় পাবনাবাসী গর্বিত। তিনি একজন গুণী মানুষ। একজন যোগ্য মানুষকে তার যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।’
পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আবদুর রহিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় যোগ্য ব্যক্তিকেই যোগ্য আসনে দেন। এটা তার প্রমাণ। মুক্তিযোদ্ধাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিনকে মনোনিত করায় পাবনাবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়ে জেলা পরিষদের মাধ্যমে পাবনার উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’
সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর বাল্যবন্ধু, জেলার বিশিষ্ট শিক্ষক ও পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ বলেন, ‘সাহাবুদ্দিন পাবনা তথা বাংলাদেশের কৃতিসন্তান। তার এই প্রাপ্তি আমার জীবনের সেরা আনন্দ। এর চাইতে খুশি কোনো দিন হইনি। ওর এই অর্জনে বন্ধু হিসেবে ও পাবনাবাসী হিসেবে আমি গর্বিত।’
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান বলেন, ‘মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার খবরটি জানার পর চোখে পানি এসে গেছে। তিনি একজন সৎ, গুণী ও যোগ্য মানুষ। তার এই প্রাপ্তি পুরো পাবনাবাসীর।’