ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাজনীন আক্তারসহ তার গৃহকর্মীকে হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১ মিনিটি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির ও সিভিল সার্জন ডা. খাইরুজ্জামানের উপস্থিতিতে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম (৪২) নওগার পত্নীতলা থানার আকবরপুর গ্রামের চাঁন মোহাম্মদ মন্ডলের ছেলে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ল্যাবএইডের চিকিৎসক ছিলেন নাজনীন আক্তারের স্বামী আসারুজ্জামান। তিনি আপন ভাগ্নে আমিনুলকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। ভর্তি করেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে। বিবাদের জেরে ২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগিনা আমিনুল। পারুল নামে গৃহকর্মী ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা হত্যা মামলায় ২০০৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৪ আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। ২০১৩ সালে এ আদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল করলে ২০২১ সালের ১২ জুলাই খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
পরববর্তীতে সকল আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে আমিনুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।