ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি।
শনিবার (১৩ জুন) সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে প্রিন্সিপাল শাহজাহান ফাউন্ডেশন (পিএসএফ) আয়োজিত একযুগ পূর্তি, গুণিজন সংর্বধনা ও ‘শেকড়ের সন্ধানে’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে। এটা শুধু দেশবাসী নয়, বিএনপির নেতারাও বুঝে গেছেন। কারণ তিনি ইতোমধ্যে দলের কাছে ব্যর্থ নেত্রী ও বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসের নেত্রী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি করার ক্ষমতা ও গুণাবলি দুটোই হারিয়ে এখন দলের ব্যর্থ নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তিনি ব্যর্থ, দলের চেয়ারপারসন হিসেবেও তিনি ব্যর্থ। তাই তার নিজ থেকে পদত্যাগ করার উচিত। কেননা তার মতো ব্যর্থ ও সন্ত্রাসের নেত্রীকে বাংলাদেশের মানুষ কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে দেখতে চায় না।
বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার পরামর্শ দেওয়ায় বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব হিসেবে বি. চৌধুরীর কৃতজ্ঞতা আছে। আর সে কারণেই এখনও তিনি বিএনপির ভালো চান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকোট কামরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের শেকড় মজবুত দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগের শেকড় মজবুত বলেই বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুর টাকা ফেরত নেওয়ার পরও পদ্মাসেতু হচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ষড়ষন্ত্রের মধ্যেও দেশ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শেকড় মজবুত না হলে এটা সম্ভব হতো না।
বিশ্ব মোড়লদের কথা শুনলে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হতো না বলেও জানান তিনি।
বিএনপির সমালোচনা কামরুল বলেন, বিএনপির শেকড় নড়বড়ে। আর শেকড় নড়বড়ে বলেই তারা আজ জামায়াতের পেটে ঢুকে গেছে। এটা আমরা বহুবার বলেছি। আজকে সে সত্য বের হয়ে আসছে। কারণ তাদের দলের নেতারাই বলছে বিএনপি এখন জামায়াতের পেটে ঢুকে গেছে।
আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সাতজন ব্যক্তিকে গুণীজন সংর্বধনা দেওয়া হয়।
ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ’র উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, নাট্যব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ ড. ইনামুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।