দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম, অপরদিকে দাম বেড়েছে রসুনের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৪ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকায় এবং ১৫ দিনের ব্যবধানে রসুনে কেজি প্রতি ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম এবং ভারত থেকে রসুন আমদানি কমার কারণে বেড়েছে রসুনের দাম। রসুনের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, দেশের বাজারে নিত্য পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে। আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। যার জন্য আজ একটু বেশি করে কিনলাম। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সাধারণ ক্রেতাদের। কারণ সামনে রমজান মাস, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজের ইচ্ছে মতো নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
অন্যদিকে রসুন কিনতে আসা আসমা খাতুন বলেন, এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসছি। অর্ধেক বাজার না করতেই টাকা প্রায় শেষ। বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। রসুন কেজি প্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই সঙ্গে ডিমের দামও বেশি। আমরা গরীব মানুষ কিভাবে বাঁচবো। ব্যায় আমাদের বাড়ছে তবে আয় তো আর বাড়ছে না।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ, রসুন বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবারহ বৃদ্ধির কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে। অন্যদিকে রসুনের দাম অনেকটাই বেশি। দেশি রসুন ১২০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।