রমজানের অন্যতম প্রয়োজনীয় পণ্য খেজুর আমদানিকারক হাজী মো. মাঈন উদ্দিন মিয়া। শঙ্কায় আছেন এসময়ে সরবরাহ নিয়ে। তিনি বলেন, এলসি এখন সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে। এ দিয়ে যদি মাল আনতে দিই, তাহলে তা আসবে রোজার পরে। ফলে রমজানে ঘাটতি রয়েই যাবে।
শুধু আমদানিকারক নন, রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান নিয়ে শঙ্কায় আছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরাও। তারা জানালেন, এখন পর্যন্ত নেই পর্যাপ্ত মজুত।
রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে শূন্য মার্জিনে ঋণপত্র খোলার নির্দেশনা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। তাই এসময়ে পণ্যমূল্য আরেক ধাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত ব্যবসায়ীদের কণ্ঠে।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, শতকরা ১২০ শতাংশ মার্জিন দিয়ে কয়েকটা এলসি দিয়েছিল, আমি অনুরোধ করি অন্তত ১০০ শতাংশের মধ্যে রাখেন।
আমদানিকারকদের অভিযোগ, শতভাগ মার্জিন দিয়েও ঋণপত্র খুলতে পারেনি তারা। যাতে এসব পণ্যের ঘাটতির পাশাপাশি অন্তত ৩০ শতাংশ দাম বাড়ার শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
যদিও মুসলমানদের পবিত্র মাসে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। ঋণপত্র পরিশোধে সমস্যা হবে না বলেও আশ্বস্ত করলেন তিনি।
রমজানের অন্তত ৪০ দিন আগেই পাইকারি পর্যায়ে শুরু হয় প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি। এ হিসাবে এক মাসের মধ্যে আমদানি প্রক্রিয়া শেষ না হলে সত্য হতে পারে সংকটের শঙ্কা।